CHOTO GOLPO ।।  ছোট গল্প ।। মৃত্যু মেশিন 



CHOTO GOLPO ।।  ছোট গল্প ।। মৃত্যু মেশিন


মৃত্যু মেশিন 

রহমান রাব্বি 


সকাল সকাল জগিং এ এসেছে নাদিয়া । পার্ক ঘুরে জগিং শেষে । বাড়ি ফিরছে ও । হেটে হেটে যাচ্ছে রাস্তার পাশে । তার চোখ পড়ল একটা মেশিনের দিকে । মেশিনের গায়ে লেখা "মৃত্যু" ।

নাদিয়াঃ এটা আবার কি ?

মেশিনের কাছে গিয়ে সে কিছুটা আন্দাজ করতে পারলো এটা কি হতে পারে ।

ওর কাছে ইন্টারেস্টিং মনে হল । এখানে কয়েন দেওয়ার জায়গা আছে । সে একটা পয়সা দিতেই মেশিনটা নিয়ে নিল । এবং আঙ্গুল রাখার জন্য মেশিনটা একটা ট্রে বের করে দিল । নাদিয়া ডান হাতের  ২ নাম্বার আঙ্গুলটা দিল । এবং মেশিন একটা শুয়ের মাধ্যমে খোচা দিয়ে রক্ত বের করে , রক্ত নিয়ে ট্রে ভিতরে চলে গেল । তারপর সাথে সাথে মেশিন একটিভেট হয়ে গেল । কিছু সময় প্রোসেসিং চলার পর একটা কার্ড বেড়িয়ে আসলো । 

নাদিয়া কার্ডটা তুলে দেখল ... "বৃদ্ধ মহিলা"

সে খুশি হয়ে গেল এবং সে ভাবলো যে তার বৃদ্ধ বয়সে মৃত্যু হবে । এবং সে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি দিকে রওনা হল । ওর বাসা রাস্তার ওপারে । সে রাস্তা পার হচ্ছে এমন সময় হঠাৎ করে সে গাড়ি চাপা পরে । এবং সে মারা যায় । গাড়ির চালক একজন বৃদ্ধা মহিলা ছিল ।



পরের দিন জগিং এর সময় ...... 

রাসেল ওই মৃত্যু মেশিনটি দেখল । সে মেশিনটার কাছে গিয়ে নাদিয়ার মতই সব কিছু করল । এবং একটি কার্ড পেল । সেখানে লেখা ছিল । "কোকাকোলা"

রাসেল এমনিতেও অনেক কোক খাওয়ার অভ্যাস ছিল । তাই সে কোক খাওয়া বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় । এবং সে বাড়ি ফিরে যায় । 

রাসেলের বন্ধু অনিক বাসায় ওর বাসায় বসে অপেক্ষা করছে । 


কিরে দোস্ত এত দেরি করলি যে । আজকে না আমাদের পার্টিতে যাওয়ার কথা । চল রেডি হয়ে নে ।

এটা শুনে রাসেল ভাবলো যে পার্টিতে তারা অনেক কোকাকোলা খায় । এবং চিল করে । আজ গেলে তার এটা খাওয়া হবে তাই সে কিছু একটা ভেবে বলল ।


না দোস্ত আজ পার্টিতে যাবো না । তুই যা


কি বলস তুই । তোর জন্যই তো আমি অন্য কাউকে বলি নাই । এখন আমি কি একা যাবো । তোকে যেতে হবে চল । 

না বন্ধু আমি যাবো না । তোকে যেতে বলছি তুই যা । 

একথা শুনে অনিক মন খারাপ করল এবং চলে গেল ।


রাসেল তার ঘরের যত কোকাকোলা ছিল সব বাহিরে ফেলে দেয় । তারপর সে নিশ্চিন্তে বাসায় বসে গেম খেলে কম্পিউটারে ।  

রাসেলের আম্মুঃ বাবা , যা তো কিছু কাচা বাজার  আনতে হবে । রাসেলের কাছে এসে । টাকা দিয়ে । যা বাবা ।

রাসেলঃ মা তুমিও না । এখন গেম খলছি এই সময় । তুমি কাজে দিলা ।

আম্মুঃ তুই তো আজকে বাসায় । তাই ভাবলাম । যা যা নিয়া আয় ।


রাসেল বাসা থেকে বের হল । এবু হাঁটতে হাঁটতে সে একটা সুপার শবে গেল এটা ৪ তলা। নিচে বেজমেন্টে বাজার । তাই সে হেটে হেটে যাচ্ছিল । আকস্মাৎ ওর মাথার উপর  কি একটা আসছে ভেবে ও উপরে তাকায় এবং ককাকলার একটা বিসার কেস কার্টুন সহ ওর মাথায় পরে এবং সে তৎক্ষণাৎ মারা যায় । কারন উপরের দিকে তাকানোর কারনে ওর ওর মাথা চোখ ও নাক মারাত্তক আঘাত পায় । এবং সাথে সাথে মৃত্যু । 

আসলে তিন তলার সিঁড়ির পাশে লোক দাঁড়ানোর কাছে ককাকলার বক্স রাখা ছিল এবং ওইটা অসতর্কতা বসত নিচে পরে যায় । এবং রাসেলে মৃত্যু ঘটে । 


কোন একদিন সকালে ......

রিয়াদ জগিং করে বাসায় ফিরছিল । এবং সে যাওয়ার পথে মৃত্যু মেশিনটা দেখতে পায় । এবং সে ওই কাজ গুলো করে যা বাকিরা করেছিল । এবং সে একটি কার্ড পায় । কার্ডে লিখা ছিল "টাইগার" ।


তো সে দেখে টাইগার মানে বাঘের থেকে সতর্ক হয়ে গেল । রিয়াদ বাসায় ফিরে গেল । তার বাসার পাশেই । বন । তার বন্ধুরা বাসায় এসেছে । তাকে নিয়ে শিকাড়ে বের হবে । কিন্তু রিয়াদ যাবে না । বাঘের ভয় করছে তার । বন্ধুসের মধ্যে একজন ...

চল তো যাই , বনে যাবো পাখি শিকার করতে । 

রিয়াদ চিন্তিত গলায়, না আমি আজকে যেতে পারবো না


অনেক বার বলার পরও সে রাজি হল না । এবং তার বন্ধুরা গেল কিন্তু সে গেল না ।

তারপর দুইদিন কেটে গেল । ওর বন্ধুরা আবার আসলো । আজ ওকে নিয়ে যাবেই । রিয়াদ আর না করতে পারলো না । সে রাজি হয়ে গেল । ভয় ভয় একটা ভাব নিয়ে পাখির দিকে বন্দুক তাক করেছে এবং ফায়ার , পাখিটি মাটিতে পরে গেল । 

দোস্ত সেই , আজকে অনেক গুলো পাখি শিকার করলাম আমরা ,

তারা একটা তাবুর মত করে বসল । রিয়াদ ও তার বন্ধুরা একসাথে খাবার খেল যা তারা বাসা থেকে নিয়ে এসেছিল । এবং আরও কিছু পাখি শিকার শেষে তারা বাড়ি ফিরে এল । 


রিয়াদ ভাবলো যে তার কিছুই তো হল না । সে ভেবে নিল মৃত্যু মেশিন এর ব্যাপারটা মিথ্যা । সে মহানন্দে আগের মত ঘুরা ফিরা ও মজা করতে লাগল । খুশিতে সে অনেক গুলো "টাইগার" এনার্জি ড্রিংক এক কেছ কিনে আনল । বন্ধুদের সাথে সে পার্টি করবে । অতঃপর তার বন্ধুরা এল । তারা প্রচুর মজা করল । রিয়াদ কয়েকটা টাইগার খেয়ে ফেলল । এবং নতুন আরেকটা নিয়ে টাইগারটা হা  করে ঢোক না গিলে , সরাসরি খেতে লাগল । হঠাৎ করে তার গলায় ড্রিঙ্কস আটকে গেল । দম বন্ধ হয়ে গেল এবং সে দাপাদাপি করে মারা গেল ।


শেষ কথাঃ মৃত্যু মেশিনের কথা ঠিক ছিল । কিন্তু এটা সর্ট করে লিখা । তাই বুঝতে পারা টা কঠিন ।


সমাপ্ত 


[ Tag:  valobashar golpo, choto golpo, vuter golpo, ekti cinemar golpo, premer golpo, bhuter golpo, soto golpo, arekti premer golpo, story, love story 1970, short story, story writing, completing story, love story bangla, bangla love story, english story, neverending story, tell me a story, i hate love story, story book, sad story, short story in english, love story pic, marriage story, love story, true story,  my story, best love story movies, love story lyrics, moral story,  love story movie, lockdown ki love story, marriage story, bangla boroder golpo,  গল্প , ভালবাসার গল্প , ছোট গল্প , প্রেমের গল্প  ]